‘লামা একটি শান্তিপূর্ণ উপজেলা। প্রশাসনের জানা মতে উপজেলার কোথাও কোন জঙ্গি সংগঠন নেই। এমনকি কোন জঙ্গি প্রশিক্ষণও চলেনা। উপজেলায় কর্মরত সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এবং প্রশাসনের তদন্তে কোন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বর্তমান সরকার জঙ্গি দমনে বদ্ধ পরিকর, সরকারের এ নীতি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসন প্রতি মুহূর্তে তৎপর রয়েছে’- বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।
সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে ‘লামায় প্রকাশ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলছে’ শীর্ষক প্রকাশিত খবর এবং উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে বৃহস্পতিবার লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন সংলগ্ন লামা কোর্ট জামে মসজিদের বর্তমান ইমাম যোগদানের পর থেকে একটি ভিন্ন মাযহাবের বিভিন্ন নিয়মকানুন নামাজ, রোজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ইবাদতের আহকাম গুলোতে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। যার কারণে মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসার পর ইমামকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া গত ২২ অক্টোবর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভায় তাকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিনি বলেন, ইসলামে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং বিতর্ক সৃষ্টি করার কোন প্রয়াস নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসময় লামা উপজেলায় কর্মরত সাংবাকিদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করে নিজ এলাকা ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এবং জনসাধাণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এমন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনা এবং প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময়কালে লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি মুহাম্মদ কামালুদ্দিন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও বর্তমান প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক ও আজাদী প্রতিনিধি মো. তানফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক আমার দেশ, পূর্বদেশ প্রতিনিধি মো. নুরুল করিম আরমান, সদস্য ও ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি মোহাম্মদ নবীর উদ্দীন, সাঙ্গু প্রতিনিধি মো. ফরিদ উদ্দিন ও দৈনিক কক্সবাজার প্রতিনিধি খগেশ প্রতিচন্দ্র খোকন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কয়েকটি আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে লামা উপজেলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতার খবর প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নড়েচড়ে বসে স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তোলপাড় শুরু হয়ে সরকারের শীর্ষ মহলেও। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলেন উপজেলা নিবাহী অফিসার হেলালউদ্দিন।
যে সব সাংঘাতিকে এসব ভুয়া রিপোর্ট দেয় এবং যারা এসব ছাপে তাদের বিরুদ্ধেও নিন্দা প্রস্তাব আনা যায়না ? নাকি সাংঘাতিক বলে সব দুধ-ভাত ! লামা প্রেস ক্লাব ভেবে দেখবে কি?