‘রাঙামাটির মোনঘর শিশু সদন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেকের কষ্ট,শ্রম আর মেধা জড়িত রয়েছে আর অসংখ্য মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই মোনঘর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপটে একটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের রাঙ্গাপানিস্থ মনোঘর শিশু সদনে শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এইসব কথা বলেন।
মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকর মহাথের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা রহমান শম্পা।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতায় ১৯৭৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরী ছিল। আমি চেষ্টা করবো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে নতুন ভবন নির্মান করা যায় এবং ভুমি বন্দোবস্ত করে দেয়া যায় সেই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে।
‘এই শিশু সদনটি যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে চেষ্টা করবো আমার শেষ কর্মজীবন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানকে উন্নত থেকে উন্নততর করার নিজের চেষ্টা ও প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন,সরকার সারাদেশের অনেক ঝড়ে পড়া শিশুকে বিদ্যালয়ে ফেরত নিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে কোন শিশু যাতে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে না পড়ে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোনঘর শিশু সদনের প্রধান শিক্ষক ঝিমিত ঝিমিত চাকমা।
মতবিনিময় সভা শেষে মনোঘর শিশু সদনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনার রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নির্মিতব্য তিন তারকা হোটেলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং পর্যটন কমপ্লেক্স সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।