প্রতিটি দেশের মধ্য রাজনৈতিক হিংসা রয়েছে যা দেশের উন্নতির প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করে। দেশ ও জাতি যদি উন্নতি হতে চায় তবে তাদের মধ্যে হিংসা জিনিসটা রাখতে পারবে না। মানুষের মধ্য হিংসা থাকা ভালো নয়।
‘সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি’- শ্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস) এর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় সুজন, এক বাংলাদেশ ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর যৌথভাবে শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক অফিস প্রাঙ্গনে মানব বন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনিল কান্তি দের সভাপতিত্বে এবং হিমাওয়ান্তি রাঙামাটির নির্বাহী পরিচালক টুকু তালুকদার পরিচালনায় অন্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন ব্লাষ্ট সমন্বয়ক এডভোকেট জুয়েল দেওয়ান, রাঙামাটি সুজন সহ সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহম্মেদ, মানবাধিকার কমিশনের নিরপা দেওয়ান।
এতে বক্তারা আরো বলেন, বৃহৎ পরিসরে এবছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উৎযাপন করছে। দেশের ৫৩ টি জেলা সদর ও ৬৫ টি উপজেলায় এই দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসে কর্মসূচি মধ্যে থাকছে মানববন্ধন ও শান্তি পদযাত্রা। এর ধারাবাহিকতায় রাঙামাটিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে আমরা সবাই পার্বত্য বাসীকে আহবান করব আমরা সকলে যেন হিংসা ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য এক সাথে কাজ করি।
বক্তারা মানব বন্ধনে আরো বলেন, লেনসন মেন্ডেলা বিশ্বের এক উদাহরন কারী নেতা যিনি দেশের জন্য জাতির জন্য জীবনের প্রায় সময় কারাগারে ছিলেন। কিন্তু দেশকে ও জাতিকে ভালোবাসে বলে জীবনের শেষ সময়ও তিনি সকলের জন্য কাজ করে গেছেন। বক্তারা এসব মহা পুরুষদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলকে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহবায়ন করেন।
পাহাড়ের জনগোষ্ঠী যদি শিক্ষিত হয়ে যায় তবে তো তাঁরা আর আন্চলিক দলগুলোর নেতাদের অপপ্রচারের ও অপরাজনীতিতে জড়াবেন না সেজন্যই সেইসব দলের নেতারা উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রমে বাঁধা সৃস্টি করতেই বিভিন্ন কুটকৌশলের মাধ্যমে নিরীহ পাহাড়ীদের বিভ্রান্তের জন্য লিপ্ত রয়েছে আর ওইসব নেতাদের ছেলেমেয়েদের দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে পড়ায় এবং দেশের বাহিরেও লেখাপড়া করায় অথচ পাহাড়ের নিরীহ হতদরিদ্ররা যাতে শিক্ষিত হতে না পারে সেজন্য হিংসার মাধ্যমেই বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করছে চাঁদাবাজি অস্ত্রবাজ সেইসব নেতারা