খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মঙ্গলবার সকালে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মনিরুল ইসলাম (২৭)নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । পুলিশ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মনিরুল ইসলামের স্ত্রী রুমি আক্তার(২৫)’র লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলামকে আসামী করে নিহত রুমির বড় ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্ব থানা পাড়া গ্রামে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের বড় ভাই মো. হাবিব জানান,উপজেলার মধ্য বেতছড়ির গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলামের সাথে চার বছর আগে বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম পাড়ার মো. শামছুল হকের মেয়ে রুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী মনিরুল ইসলাম যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত নির্যাতন চালাতো। মঙ্গলবার সকালেও রুমিকে নির্যাতন করে হত্যার পর আত্মহত্যা বরে চালিয়ে দিতে লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে মনিরুল।
নিহতের বড় ভাই হাবিব অভিযোগ করেন,আমার বোনকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রায় সময় নির্যাতন চালাতো। আমি বোনের সুখের জন্য বিভিন্ন সময় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। গত কয়েকদিন আগে সে আবার পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবী করে। আমি দিতে পারিনি।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,প্রাথমিক তদন্তে লাশ উদ্ধারের সময় আতœহত্যার কোন লক্ষন দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতন করার এক পর্যায়ে রুমি আক্তারের মৃত্যু হলে স্বামী মনিরুল আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে নিজে লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. হাবিব বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
Bejoma janwar takeo mere fela uchit