‘সরকার আমাদের সাথে প্রতারনা করছে। আমাদের চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করার আশা দিয়ে বারবার নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। কেউ আমাদের দুঃখ বুঝেনা। সময় ঘনিয়ে আসছে। জুম্ম জনগনের অধিকার আদায় করতে সর্বোচ্চ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন।’
রোববার সকালে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় এইসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা)’র কো-চেয়ারম্যান সুধাসিন্ধু খীসা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির সভাপতি প্রীতিময় চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় ভূমি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক শক্তিমান চাকমা এবং সদর থানা কমিটির ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রত্যয় চাকমা। এসময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতা তাতিন্দ্র লাল চাকমা, বিভু রঞ্জন চাকমা সহ অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সুধাসিন্ধু খীসা বলেন, পাহাড়ে পুরোপুরি শন্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়ার জন্য সরকার দায়ী। সরকার যদি জনসংহতি সমিতির সাথে করা শান্তিচুক্তি পুর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতো তাহলে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতো।
সরকারের আদিবাসী স্বীকৃতি না দেয়ার সমালোচনা করে এই শীর্ষ নেতা বলেন, সরকার আমাদের কখনো উপজাতি কখনো ক্ষুদ্র নৃ জনগোষ্টী স্বীকৃতি দিচ্ছে। সরকারের এমন স্বীকৃতি আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। আমি নিজেদের আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে চাই।
আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সুধাসিন্ধু খীসা বলেন, আমাদের জানা আছে কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয়। আমরা কঠোর কোন আন্দোলনে যেতে চাচ্ছিলাম না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের ন্যায্যতা আদায় করতে চাচ্ছিলাম। যদি এতে কাজ না হয় অধিকার আদায় করতে কঠোর আন্দোলন একমাত্র পথ।
এর আগে দিনটি উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এম এন লারমা সমর্থিত জনসংহতি সমিতি সূর্যশিখা এলাকা থেকে একটি শোক র্যালী বের করে। র্যালীটি চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকায় অবস্থিত এম এন লারমা ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পন করে।