সন্ত্রাস সন্ত্রাসকে ডেকে আনে মন্তব্য করে সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ১৯৭৫ সালে যেভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ঠিক একই সন্ত্রাসের মাধ্যমে বেনিফিসিয়ালি শহীদ জিয়াকেও হত্যা করা হয়েছিলো। সে সময় যদি জিয়াউর রহমান সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় না দিতেন, তবে একই কায়দায় তাকে মরতে হতো না। জিয়া খুনিদের বিদেশের দূতাবাসে চাকরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। তিনি বলেন, ২৯বছর পর বেগম জিয়া একইভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু জনগণের নেত্রী সেদিন দলীয় কর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। পাহাড়ের নেতা এমএন লারমাকেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে মরতে হয়েছে। তাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিহার করে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান দীপংকর তালুকদার।
তিনি ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, লংগদু উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরনাহার বেগম, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিপুল ত্রিপুরা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ এমরান রোকন।
সভার শুরুতে দীপংকর তালুকদার ২১ আগস্ট ঢাকায় সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের সমবেদনা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসী দল তাদের অস্ত্রের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি, চাঁদাবাজি, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। যারা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ কথা বলার সাহস রাখেন না। হত্যাকান্ডের পর প্রাণভয়ে থানায় মামলা কিংবা জিডিও করেন না। এক্ষেত্রে সরকার বাদি হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশের পূর্বে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।