রাঙামাটির লংগদু উপজেলার তিনটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীতি চাকমার বিরুদ্ধে রাঙামাটি কলেজে পড়–য়া এক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ এনে ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ নামের একটি সংগঠন। তবে ‘অভিযুক্ত’ শিক্ষক ঘটনার সাথে তার দায় অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি ‘চক্রান্তের’ শিকার।
মঙ্গলবার রাবেতা কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঙালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, সম-অধিকার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আল-আমিন ইমরান, বাঙালী ছাত্র পরিষদের লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহাফুজুর রহমান
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘লংগদু সদরের উপজেলা পরিষদের নিঝুম কোয়াটারে বসবাসকারী প্রধান শিক্ষক সুনীতি চাকমা গত ১৫ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পরে রাঙামাটি কলেজে পড়–য়া এক ছাত্রীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় ডেকে নেয়। এসময় ওই শিক্ষকের বাসায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কেউ না থাকায় সুযোগে প্রধান শিক্ষক কৌশলে তার অন্যায় অবদার মিটাতে ওই ছাত্রীকে বাধ্য করেন। পরে এলাকার লোকজন টের পেয়ে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আটক রেখে পরে থানায় খবর দিলে থানার পুলিশ সদস্য কাম কেশিয়ার ও ডিএসবি ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক ও ছাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে লংগদু স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে মোটা অংকের বিনিময়ে শিক্ষক ও ছাত্রীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে থানা পুুলিশ জনৈক মোটরবাইক চালককে দিয়ে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে নিরাপদে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়।’
বক্তারা আরো অভিযোগ করেন, এই প্রধান শিক্ষক এর আগেও বহু মেয়েকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলে তার লালসার শিকার বানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারিরা।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ,সেই তিনটিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীতি চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি কোন অন্যায় করিনি, এটি একটি চক্রান্ত।’
এদিকে এঘটনার ব্যাপারে জানতে লংগদু থানার ইনচার্জ অফিসার আবুল কালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, আমার থানায় এধরনরে কোন ঘটনা আসেনি। কেউ থানায় এসে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করা হলে আমার আইনগত ব্যবস্থা নিবো।