খাগড়াছড়ির রামগড়ে বহুল আলোচিত ফারুক হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর কালাডেবা এলাকা থেকেিএক আসামিকে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ । আটক মৃদুল কান্তি ত্রিপুরা আকাশ (১৮) পৌরসভাধীন ৭নং পৌর ওয়ার্ডের কালাডেবা এলাকার উপেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে।
গত শনিবার (১ আগস্ট) রামগড় থানা পুলিশের অক্লান্ত চেষ্টার ফলে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কালাডেবা থেকে ওমর ফারুক হত্যাকারী মৃদুলকান্তি ত্রিপুরা আকাশকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
রামগড় থানা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঘটনার কয়েকদিন আগে আসামি মৃদুল ঘটনাস্থলের কিছু দূরে ব্রিজের ওপর রাতে দুই পা মেলে মোবাইলে কথা বলছিল ওই রাস্তা দিয়ে ফারুক হেঁটে যাওয়ার সময় মৃদুলের পায়ের সাথে আঘাত লাগলে মৃদুল দুঃখ প্রকাশ করার পরও ফারুক মৃদুলকে চড় মারে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফারুককে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে মৃদুল।
“ঘটনার দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ওমর ফারুক ছাতা মাথায় মোবাইলের হেডফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি ফিরছিলো। ফারুক ঘটনাস্থলে ব্রিজের ওপর অপেক্ষারত মৃদুলকে অতিক্রম করে চলে গেলে মৃদুল পিছু নেয় এবং কাঠের টুকরো দিয়ে ফারুকের মাথায় সজোরে আঘাত করে। ফারুক মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে গেলে আসামি মৃদুল ফারুকের ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ফারুকের মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রাতে মারা যায়।”
রামগড় থানার ওসি মো. সামসুজ্জামান বলেন, ২০ দিনে রামগড় থানা পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার কালাডেবা বাজার স-মিল এলাকা থেকে আসামি মৃদুল কান্তি ত্রিপুরা আকাশকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মৃদুল কান্তি ত্রিপুরা আকাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে রামগড় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।