খাগড়াছড়ি জেলার ৬ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, পুরুষ ভাইস্-চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। একক প্রার্থী দেয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৩জন, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় ২জন করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অন্যদিকে রামগড় ও পানছড়িতে ১জন করে বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন আওয়ামীলীগের। এছাড়া চাচা, ভাগিনা ও ভাতিজা লড়বেন এবারের রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে। এদিকে গতকাল প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীকও বরাদ্দ করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদরে চেয়ারম্যান পদে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো: শানে আলম (আনারস), বিএনপি‘র কংচাইরী মারমা (দোয়াত-কলম), ইউপিডিএফ সমর্থিত চঞ্চুমনি চাকমা (মোটরসাইকেল) ও স্বতন্ত্র এস এম রেজাউল করিম হেলাল (ঘোড়া)।
চাচা, ভাতিজা, ভাগিনার লড়াই
রামগড় উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত ৩জন প্রার্থী। তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা বিএনপি‘র সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন ভ’ইয়া, বিএনপি‘র প্রার্থী উপজেলা বিএনপি‘র সেক্রেটারী শহীদুল ইসলাম ফরহাদ ও বিএনপি‘র সমীরণ দেওয়ান গ্রুপের রিয়াজ উদ্দিন রিপন।
বেলায়েত হোসেন ভূইয়া হলেন শহীদুল ইসলাম ফরহাদের চাচা আর রিয়াজ উদ্দিন রিপনের মামা।
বর্তমান চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ভ’ইয়া জেলা বিএনপি‘র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়ার বড় ভাই। গত নির্বাচনে তিনি বিএনপি‘র একক প্রার্থী ছিলেন। এবার নাগরিক কমিটির প্রার্থী হয়েছেন।
লক্ষীছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮
দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, পুরুষ ভাইস্-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস্-চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রেম্রাচাই চৌধুরী, বিএনপি নেত্রী দেবরানী চাকমা, সমাজকর্মী সাথৈঅং মারমা, সাবেক চেয়ারম্যান দশরথ তালুকদার, স্বপন চাকমা, মংক্যচিং চৌধুরী, নীলবর্ণ চাকমা এবং মাইনুল ইসলাম।
রামগড়ে চাচা-ভাতিজা-ভাগিনার লড়াই
