রাঙামাটি শহরের একমাত্র পার্ক ‘রাঙামাটি পার্ক’র অবৈধ দখলদারদের কারণে অচল হয়ে পড়েছিলো দীর্ঘদিন। সম্প্রতি আবারো পার্কটি চালু করতে নানান কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে সোমবার রাঙামাটি পার্কের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়।
চারজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ, রাঙামাটি পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহায়তায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এসময় পার্কের সীমানার ভেতর অবৈধভাবে নির্মিত হওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক কাঁচা বাড়ীঘর উচ্ছেদ করা হয়।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশনার কারণে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজার এলাকায় স্থাপিত ‘রাঙামাটি পার্কে’র মধ্যখানে অবৈধভাবে নির্মিত কমিউনিটি সেন্টারের স্থাপনাও সরিয়ে নিয়েছিলো নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি পৌরসভা। পার্কটি রক্ষার জন্য ২০০৪ সালে হাইকোর্টে বেলা’র সহযোগিতায় মামলা দায়ের করেছিলেন স্থানীয় পরিবেশভিত্তিক সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর পাকর্টি পূর্ণাঙ্গ অবয়ব পেতে শুরু করেছে।
সোমবার উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) কেএম ওবায়দুর রহমান জানিয়েছেন, রাঙামাটি শহরবাসী ও শহরের শিশুদের জন্য একমাত্র পার্কটি উম্মুক্ত করে ব্যবহার উপযোগি করার জন্যই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাঙামাটির মতো একটি সুন্দর শহরে একটি শিশু পার্ক এইভাবে বেদখলে বিপন্ন হতে পারেনা,তাই জেলা প্রশাসন পার্কটির মালিক হিসেবে এই উচ্ছেদ অভিযান এবং এটিকে একটি পরিপূর্ণ শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তোলায় কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্কটি উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে।
প্রশাসনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। দয়া করে আরেকটি বিষয় গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন রাতের বেলা এখানে বখাটেদের নানামুখি অপকর্ম ছলে।
মানণীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং রাতের বেলায় এখানে বখাটেদের নানা রকম উৎপাতের ব্যাপার অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে আমাদের ফজলে এলাহি ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। তিনি অনেক দিন ধরে এই ব্যাপারে সংগ্রাম করে গেছেন, এখন ও করছেন। এই ব্যাপারে আমাদের পূর্ন সমর্থন থাকবে।