রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায় সোমবার রাতে একটি সিএনটি অটোরিক্সা চালকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। নিহত অটোরিক্সা চালকের নাম বাবু গুলো চাকমা (২২)। নিহত বাবুগুলো চাকমা জেলার লংগদু উপজেলার বরাদম এলাকার বাসিন্দা হলেও সে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ঘিলাছড়ির হাজাছড়া পূর্বপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো এবং পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। মাস তিনেক আগে ওই এলাকায় বিয়ে করে সংসার শুরু করে সে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,সোমবার রাত আনুমানিক পৌনে আটটার সময় ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত খামারপাড়া এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলো বাবুগুলো চাকমা। হঠাৎ দুইটি সিএনজি অটোরিক্সায় করে এসে কয়েকজন সশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে।
ইউপিডিএফ এই নিহত ব্যক্তিতে একজন ‘সাধারন নাগরিক’ দাবি করে এই হত্যাকান্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছে। সংগঠনটির ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি বাবলু চাকমা দাবি করেছেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, সন্তু লারমার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
তবে জনসংহতি সমিতির মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা, এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ঘটনাস্থলটি ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত,সেখানে এই ধরণের কোন ঘটনার সাথে আমাদের জড়িত থাকার প্রশ্নই আসেনা। তিনি বিষয়টি ইউপিডিএফ এর ভিত্তিহীন অভিযোগ বলেও দাবি করে বলেন,জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ইউপিডিএফ সবসময়ই এই ধরণের অভিযোগ করে থাকে।
রাঙামাটির পুুলিশ সুপার তারেক সাঈদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন,সেখানে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে,পুলিশ সেখানে গেছে। সেখানে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। বিষয়টি সেনাবাহিনীও অবহিত হয়েছে,তাদের টহল টীমও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।