১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতাল শেষ হয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে। রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই লাগাতার হরতালের পুরো স্থবির হয়ে পড়েছিলো পার্বত্য এই শহর। স্কুল-কলেজ-অফিস সর্বত্রই ছিলো হতাশা আর কর্মহীনতার ছাপ। শহরের একমাত্র বাহন অটোরিক্সা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। টানা হরতাল শেষে আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় ১৮ দলীয় জোটের পিকেটাররা। শহরের তবলছড়িতে জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল,সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবি,ছাত্রদরের সহসভাপতি আব্দুল মামুন,পৌর ছাত্রদলের সভাপতি সুমন,জেলা বিএনপির শফি,যুবদলের আবুল কালাম পিকেটিং ও মিছিলে নেতৃত্ব দেন। পিকেটিংকালে কয়েকদফা মিছিল করেছেন পিকেটাররা।
শহরের বনরূপায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম পনির,পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শফিউল আজম,যুবদল নেতা জীবক চাকমাসহ ছাত্রদল,যুবদল নেতারা পিকেটিং ও মিছিল করেন।
কাঠালতলি এলাকায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহ আলম,যুগ্ম সম্পাদক আলী বাবর,আবু বক্কর,মহিলা দলের মিনারা আরশাদ সহ নেতৃবৃন্দ পিকেটিং-এ নেতৃত্ব দেন।
রিজার্ভবাজারে বিএনপি নেতা মনীষ দেওয়ান, মান্নান,যুবদল সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ,ছাত্রদল সভাপতি আবু সাদাত মোঃ সায়েম,যুবদলের সিরাজুল মোস্তফা,ছাত্রদলের জসীমউদ্দিনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা পিকেটিং-এ নেতৃত্ব দেন। পিকেটিংকালে তারা রিজার্ভবাজারে খন্ড খন্ড মিছিল ও করেন। এসময় ওয়ার্ড বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল ও সহযোগি অন্যান্য সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহরের ভেদভেদী এলাকায় পিকেটিং-এ নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট দীপেন দেওয়ান। সেখানে কলেজ ছাত্রদল,ওয়ার্ড ছাত্রদল,যুবদল,বিএনপিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করেন।
শহরের প্রবেশ মুখ মানিছড়িতে পিকেটিং-এ নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার,যুবদল নেতা সগীর,ছাত্রদলের আলমগীর,বিএনপির ইসলাম সওদাগর,বাচা,আব্দুল্লাহ,রাসেল সহ নেতৃবৃন্দ।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহ আলম জানিয়েছেন,হরতালের শেষদিনে জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনে সহযোগিতা করায় তিনি রাঙামাটিবাসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।