পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ। বুধবার চট্টগ্রাম ভেটেনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) থেকে আসা ৫৪টি নমুনা রিপোর্টের ১৮টি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১৩ জন, কাউখালীর উপজেলার ২ জন, জুরাছড়ি উপজেলার ১ জন, নানিয়ারচর উপজেলার ১ জন ও কাপ্তাই উপজেলার ১ জন রয়েছেন। এনিয়ে রাঙামাটিতে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৯ জনে।
বিষয়টির নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ও মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বুধবার সিভাসু থেকে আসা রিপোর্টে নতুন করে রাঙামাটিতে আরও ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। বুধবারে আসা রিপোর্টের নমুনা ১৩ তারিখ পাঠানো হয়েছিল। এ পর্যন্ত রাঙামাটিতে ৪৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ৬ মে দেশের সবশেষ জেলা হিসেবে রাঙামাটিতে প্রথম ধাপে চারজনের দেহে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৯ জনে। তবে সবচেয়ে বেশি ২৮১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে রাঙামাটি সদরেই। শনাক্তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে কাপ্তাই, এ উপজেলায় ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত জেলায় সবচেয়ে কম সংক্রমণ হওয়া উপজেলা হলো নানিয়ারচর ও বরকল। এই দুই উপজেলায় মাত্র ৩ জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলায় ৩১৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন ১০ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন। এছাড়া করোনা পরীক্ষার জন্য এ পর্যন্ত রাঙামাটি থেকে মোট ২৫২৭টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে রিপোর্ট এসেছে ২৪২১টি, যার ৪৬৯টিই পজিটিভ। এখনো অপেক্ষমান নমুনা রিপোর্টের সংখ্যা ১০৬।