খাগড়াছড়িতে পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় বাবা-মাসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহা. আবু তাদের বুধবার দুপুরে আলাদা মামলায় এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার মানিকছড়ির মুসলিমপাড়ায় ভিকটিম শিশু সুমাইয়া আক্তার (৩) কে ধর্ষণের দায়ে একই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান (২৪) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন বিচারক। তাকে আরও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত বছরের ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মানিকছড়ির ওমর আলী মেম্বারের স’মিল এলাকায় শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান। শিশুর মা সুপ্রিয়া আক্তার মামলা দায়ের করলে ওই বছরের ৭ মার্চ পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। পরে ৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দিয়েছেন।
এদিকে পৃথক ঘটনায় জেলার রামগড়ের নেয়াপাড়া গ্রামে বিবাদীদের ঘরে ধর্ষণ করা হয় তাদের কন্যা সন্তানকে। এই ঘটনায় ভিকটিমের চাচা ওমর আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ভিকটিমের বাবা আবুল কাসেম ও ধর্ষণে সহায়তার জন্য মা মনোয়ারা বেগমকে আটক করে জেলে পাঠায়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন। এই মামলায়ও ৮ জনের স্বাক্ষী গ্রহণ শেষে আদালত বাবা-মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকটি আরও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খাগড়াছড়ি জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, দুটি মামলায় ভিকটিম ন্যায় বিচার পেয়েছেন।