মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন রাঙামাটির নতুন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান। শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। রাঙামাটিতে যোগদান করার প্রথম সপ্তাহেই তিনি সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, মাদক সমাজের এখনো আছে সেটা বাস্তবতা। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমরা কাজ করবো। আমরা যদি প্রত্যেকেই নিজের সচেতনতা আগে গড়ে তুলি তবে সমাজে মাদক, অপরাধ থাকবে না। নিজের সন্তান মাদকাসক্ত হলে আগে নিজেই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঘর থেকেই প্রথমে মাদকের বিরুদ্ধে বাধা আসতে হবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, আমার কাজ দুুইটি। এক জননিরাপত্তা, দ্বিতীয় জনশৃঙ্খলা। এই দুইটির ক্ষেত্রে আমি কোনো সুপারিশ মেনে নেবো। জনগণের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানে পুলিশ কাজ করে যাবে। সেবাই পুলিশের ধর্ম। তাই পুলিশের সমস্ত কাজই হবে জনগণকে সেবা প্রদান করা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ভিন্নতর এটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলার বিধিবদ্ধ যে আইন আছে তা মেনে নিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন ঘটাবো। তিনি বলেন, আগে ‘নলেজ ইজ পাওয়ার’ বলা হলেও বর্তমানে বলা হয় ‘ইনফরমেশন ইজ পাওয়ার’। তাই যার কাছে যত বেশি তথ্য থাকবে, তিনি তত বেশি শক্তিশালী হবেন। অযথা তথ্যের সীমাবদ্ধতায় এলাকায় বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাই তথ্যের ক্ষেত্রে তার নিজের শতভাগ চেষ্টার পাশাপাশি সংবাদকর্মীদেরকে সঠিক সংবাদ দ্রুত পাঠকের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
মত বিনিময় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) নাজমুল হাসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, সহকারি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) চিত্তরঞ্জন পাল, সহকারি পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনু সোহেল ইমতিয়াজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটির সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলীসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীরা।
রাঙামাটির নতুন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান ঢাকা, যশোরসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বান্দরবান জেলায় কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি বিদেশে শান্তি রক্ষা মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন।
do-chuanir khetre o ki ziro tolarence?
do-chuanir khetre o ki ziro tolarence?