‘সদ্য সমাপ্ত হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতি মার্কায় ভোট দেয়ার কারণে খাগড়াছড়ির মাটিরাংগা উপজেলার তাইন্দং, গোমতি সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনের পর থেকে পাহাড়িদেরকে হুমকি-ধামকি, ভয় ভীত প্রদর্শন, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও রাতের বেলায় মহড়া দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এর ফলে পাহাড়িদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা।
শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি ‘আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়ে ও অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে হাতি মার্কায় ভোট দেওয়ার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে ওই এলাকার স্থানীয় মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে, মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। গতকাল ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে গোমতির টাকার মনি পাড়া এলাকায় তারা বন্দুক দিয়ে গুলির আওয়াজ করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি থেকে পাহাড়িরা যাতে তাইন্দং বাজারে যেতে না পারে এবং মালামাল বেচা-কেনা করতে না পারে সেজন্য পাহাড়ি গ্রামে জীপ গাড়ি ও মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গোমতি বাজারের পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা পাড়ায় গভীর রাতে মহড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে। এছাড়া হাতি মার্কায় ভোট দেওয়ার অপরাধে ডাকবাংলা বোর্ড অফিসে ৩-৪টি বাঙালি পরিবারের ঘরবাড়ি ভাংচুর করারও খবর পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় ওই এলাকার পাহাড়িরা বর্তমানে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন।’
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ ধরনের কর্মকান্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও পাহাড়িদের নিরাপত্তা বিধানের জোর দাবি জানিয়েছেন। ইউপিডিএফ এর প্রচার বিভাগের নিরন চাকমা সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইসব দাবি করা হয়।