রাঙামাটির বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি নেতা মশিউল আলম হুমায়ুন আর নেই( ইননিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী,দুই পুত্র ও দুই কণ্যা সন্তান রেখে গেছেন। শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ হার্টএটাকে আক্রান্ত হলে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে গাড়ীতেই বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
একসময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন হুমায়ুন। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে গঠিত সাবেক স্থানীয় সরকার পরিষদেরও একজন সদস্য ছিলেন।
শুক্রবার রাত ৯ টায় রাঙামাটির উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে জানাজা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ী নোয়াখালির চাটখীলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তার পারিবারিক সূত্র। মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে তাকে।
মশিউল আলম হুমায়ূনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক দীপন তালুকদার দীপু,পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ভূট্টো,রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সুনীল কান্তি দে,সদর থানা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন,জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল ও সাধারন সম্পাদক মো: ইলিয়াছ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু সাদাত মো: সায়েম ও সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার,সমঅধিকার আন্দোলন নেতা জাহাঙ্গীর কামাল,বিএনপি নেতা কর্ণেল (অব) মনীষ দেওয়ান প্রমূখ।
রাঙামাটি জেলা রেডক্রিসেন্ট এর সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরীও পৃথক এক বিবৃতিতে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেছেন, মরহুম মশিউল আলম হুমায়ুন ভাই রাঙামাটি রেডক্রিসেন্ট এর একজন আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি সংগঠনটির উন্নয়নে নানা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন।
Innalillah o innaillah rajuin.