সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্তের পর থেকেই বলতে গেলে ফাঁকা হয়ে গেছে পার্বত্য জনপদের ব্যস্ততম শহর রাঙামাটি। নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন বুধবার জেলা শহরে মানুষের উপস্থিতি ছিলো অনেকটাই কম। আজ বৃহস্পতিবার বলতে গেলে একেবারেই ফাঁকা হয়ে আছে পুরোটা শহর। শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে পুলিশ, অব্যাহত রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল।
আজ সকাল থেকেই শহরের বনরূপা, রিজার্ভবাজার ও তবলছড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কেবল কাঁচাবাজার, মুদি ও সবজির দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাট খোলা নেই। বুধবার অনেকেই মুদি দোকান খুললেও বৃহস্পতিবার মুদি দোকান খোলেননি অনেক দোকানি। পুরো এলাকা বলতে গেলে জনমানবশূন্য। বেশ কয়েকজনকে পথে দেখা গেলেও তারা কাজ সেরে সোজা ঘর-দোড়েই চলে যাচ্ছেন। এছাড়া শহরের মোড়ে মোড়ে রয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। কাউকে মাস্ক ছাড়া দেখলেই সাবধান করে দিচ্ছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার তদারকি করছেন। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। হাট-বাজার থেকে শুরু সব জায়গায় যাতে একের অধিক মানুষ এক সঙ্গে যেন থাকতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করছে প্রশাসন। এদিকে রাঙামাটিতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষদের কাছে সকাল থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফলমূল পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ ও মো. ইসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘আমরা অপ্রয়োজনে লোকজন ভিড় করছে কিনা সেটি লক্ষ্য করছি। এছাড়া যেসব দোকান বন্ধ রাখার কথা ছিল, সেগুলো বন্ধ আছে কিনা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার তদারকি করেছি। এছাড়া জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছি।’
অন্যদিকে জেলার দশ উপজেলার সঙ্গে গত বুধবার সকাল থেকেই নৌ-পথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উপজেলাগুলোতে ওষুধ, কাঁচাবাজার ও মুদি ছাড়া বাকী সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে পুলিশ-সেনাবাহিনী।