খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিরোধীজোটের ৬০ ঘন্টার হরতালে দিনের চেয়ে রাতে পিকেটারদের উপস্থিতি বেশী চোখে পরে। পিকেটারদের ধারণা রাতে হয়তো কোন যাত্রী গাড়ি নিয়ে গন্তব্যে চলে যেতে পারেন। কোন রিক্সা বা মোটর সাইকেল যোগেও কেউ রাতে চলাফেরা করতে পারেননা। কিন্তু বিএনপি নেতা হলে কোন বাধা নেই। কর্মীদের এই কড়া নজরদারির মধ্যে বিএনপির এক নেতা ঠিকই নিজের পণ্যবাহি ট্রাকও নিয়ে গেছেন। সাধারণ মানুষ পিকেটারদের সামান্য করুণা বা সহমর্মিতা না পেলেও নেতা ঠিকই পেয়েছেন। যদিও নেতার এই কান্ডে ক্ষুদ্ধ কর্মীরাও।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় দীঘিনালা-মেরুং সড়কের আশ্রম এলাকায় দেখা গেছে লাঠি হাতে বেশ ক’জন পিকেটার দাড়ানো। ভাড়ায় চালিত একটি মোটর সাইকেলযোগে আসা এক নারীকে আটকে রাখা হয়েছে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে। ওই নারী যাচ্ছিলেন পাশের গ্রাম আশ্রমেই। ঠিক তখনি দেখা গেল মেরুং-এর দিক থেকে একটি পণ্যবাহি ট্রাক আসছে ,ট্রাকের সামনে একটি মোটর সাইকেলে দুই যাত্রী। পিকেটারদের সামনে এসে মোটর সাইকেল থামিয়ে বিএনপি নেতা নিজের পরিচয় দিলেন। ট্রাকটিতে তাদের প্রয়োজনিয় পণ্য আনা হয়েছিল এবং সেটি পার করে দিচ্ছে জানানোর পর পিকেটাররা মোটর সাইকেলসহ ট্রাকটি ছেড়ে দিল। অবশ্য দুই/একজন পিকেটার তখন বিরক্তির সুরে বলছিল ‘তাহলে এরকম হলে রাতে আমাদের পিকেটিং করার দরকার কি আর অন্যদের আটকে কষ্ট দিয়েও লাভ কি?’ এর পর ওই নারীকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মেরুং (উত্তর) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (পিসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে বিষয়টি যাতে মিডিয়াতে প্রচার না হয় সেই জন্য অনুরোধ করেন।