পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় এখনও নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে সংক্রমণ রোধে বান্দরবানে জ্বর-সর্দি, কাশি থাকায় ২১ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত দুদিনে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে নির্ধারিত কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে আলীকদম উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে নিহত ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল চট্টগ্রামে। কিন্তু পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়নি।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলায় এখনো কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীন সবগুলো রুটে এবং পাহাড়ি জনপদে গ্রামবাসীরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে চলাফেরা। রোব ও সোমবার গত দুদিনে বান্দরবান জেলায় ২১ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের জ্বর-সর্দি এবং কাশি রয়েছে। সদর, থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা নমুনা গুলো পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে নির্ধারিত ক্ষেদ্রে পাঠানো হচ্ছে।
অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম এবং লামা উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা নমুনা গুলো কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে নতুন করে সংগ্রহ করা নমুনার কোনো রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবানে চিকিৎসক’সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা পেয়েছে এক হাজার ৪০টি পিপিই। বান্দরবান সদর হাসপাতালের পাশ্ববর্তী নার্সিং কলেজ ইনষ্টিটিউট এবং লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০০ টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, ‘বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলা থেকে ২১ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের নির্ধারিত কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বান্দরবান। কিছুদিন পূর্বে আলীকদমে নিহত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা শনাক্ত হয়নি। আতঙ্কের কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে মানুষদের ঘরের মধ্যে থাকার অনুরোধ করছি।’