পার্বত্য জেলা বান্দরবানে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ জনে। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ এবং ১ জন নারী। এদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ (আরএমও) ৭ জন চিকিৎসক, নার্স ১০ জন, স্টাফ ও ক্লিনার কর্মী ৬ জন এবং থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) থানচি থানার ওসিসহ ৭ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন।
অন্যদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়েছে। থানচি উপজেলার দুটি বাজার লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। থানচি সোনালি ব্যাংকও লকডাউন করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের এক গার্ড পুলিশ, বড়মদক এলাকার এক বাসিন্দা ও লামা উপজেলায় সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা মুসলিম পাড়ার এক বাসিন্দার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়।।
এর আগে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব টেস্টে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে তাবলিগ ফেরত পুরুষ করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় ৪ জন করোনা রোগী ধরা পড়েছে। শনাক্ত রোগীদের সদর হাসপাতালে ২জন, লামায় ১ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে ১জন রয়েছে। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১০জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৯৫ জন রয়েছে।
বিষয়টির নিশ্চিত করে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানিয়েছেন, ‘থানচিতে ২ জন, লামায় ১ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে ১ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে থাকা চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ইউএনও, ওসিসহ ২৬ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার শনাক্ত হওয়া তিন জনের নমুনা আরও তিনদিন আগে পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যে আরও অনেকের নমুনা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।’