‘বন্য প্রাণীর আবাসস্থলের দিকে ক্রমান্বয়ে মানুষ যেতে থাকলে একদিন বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষ ক্রমেই বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত করে ফেলছে। এভাবে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে আসলে বন্য প্রাণীর আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তাই বন্যপ্রাণী যাতে নিজ এলাকায় স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে এবং খাবার সংগ্রহ করতে পারে সেই জন্য সকলের সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী। তিনি শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বন্য হাতির আক্রমণে নিহতের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটির বন সংরক্ষক রেজাউল শিকদার, উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম কায়ছার ও হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে জনগণের বিরাট একটি অংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বসবাস করছে। এতে দিন দিন বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ছোট হয়ে আসছে। বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রচুর বাধা আসে। শেষ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর জায়গা মানুষের আবাসস্থল হয়ে উঠে। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জেলাপ্রশাসক অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, ৮৬টি আবেদনের প্রেক্ষিতে মাত্র ৫ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলো। এভাবে হলে ৩৪বছরেও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শেষ হবে না। তিনি দ্রুত বাকী ক্ষতিগ্রস্তদেরর ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
রাঙামাটির বন সংরক্ষক রেজাউল শিকদার বলেন, বন্যপ্রাণীর চারণভূমি ধ্বংস করতে থাকলে তারা একদিন ঠিকই প্রতিবাদী হয়ে উঠবে। এজন্য বন্যপ্রাণীর চারণভূমি ধ্বংস করা যাবে না। এজন্য তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে হাতির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ জনকে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান বনবিভাগের কর্মকর্তারা।