ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা ড. এফ দীপংকর মহাথেরো (ধুতাঙ্গ ভন্তে) বলেছেন, “শান্তিবাহিনী একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তারা টাকা পয়সার জন্য নিজেদের বাবা মাকেও হত্যা করতে পারে। টাকার জন্য মানুষ হত্যা করে। জেএসএস শুধু আমাকেই নয়, শ্রদ্ধেয় সাধনানন্দ মহাস্থবিরকেও (বনভন্তে) ধর্ম প্রচারে বাঁধা দিয়েছিল, এমনকি বনভান্তের ওপর তারা গুলিবর্ষণও করেছিল।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) অধিকাংশ সদস্য ‘অধার্মিক’ মন্তব্য করে ড. এফ দীপংকর মহাথের ( ধুতাঙ্গ ভন্তে)। ‘জেএসএস মধ্যে কেউ কেউ ধার্মিকও আছেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার সকাল ১১ টায় রাঙামাটি প্রেসক্লাবে বিলাইছড়ি উপজেলার ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করে দেয়ার প্রতিবাদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জেএসএস’র সঙ্গে বিরোধ কেন জানতে চাইলে আলোচিত এই ভন্তে জানান, “আমি বলি মিথ্যাচার করিও না, ব্যভিচার করিও না, প্রাণী হত্যা করিও না, মদ্যপান করিও না, হিংসা করিও না। এসব প্রচারের কারণেই মূলত তারা আমাকে শত্রু ভাবে।”
সংবাদ সম্মেলনে ভন্তে ‘বাংলাদেশে স্বধর্মীয়, স্বগোত্রিয় অধার্মিক বৌদ্ধ নামধারী জেএসএস সন্ত্রসীদের ছোবল, অত্যাচার-নির্যাতনের কারনে অসংখ্য নিরীহ সহজ সরল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষগুলো কি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হবে?’ এমন প্রশ্ন ও রাখেন সকলের উদ্দেশ্যে।
প্রসঙ্গত, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বিরুদ্ধে বিহার পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করে সোমবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীলে অবস্থিত ‘ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’ এর প্রতিষ্ঠাতা ড. এফ দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভন্তে)। তিনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে পূর্ববর্তী সময়ে বিহারের সেবক ও বিহারের সাথে সংশ্লিষ্টদের জনসংহতি সমিতির ভয়ভীতি প্রদর্শন, অপহরণ, হামলা-তাণ্ডবের ১৮টি সুনির্দিষ্ট ঘটনা তুলে ধরেন।