
গত ১০ জানুয়ারি পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের দিন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত মনির হোসেন দীর্ঘ ২১ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৩১ জানুয়ারি শনিবার রাত ১১.৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা এডভোকেট মামুন ভূইয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মনির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার মৃত মো: বারেক এর পুত্র।
১০ জানুয়ারি শহরের আদালত ভবন এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪০/৫০ জনের একদল নেতাকর্মী পায়ে হেঁটে মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনস্থলের দিকে যাওয়ার পথে শাপলা হোটেলের সামনে তাদের উপর হামলা করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) কর্মীরা। এসময় পিসিপি কর্মীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে শেভরন ক্লিনিক পাড় করে দেয়।

পরে বনরূপা ও চম্পকনগর থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা মেডিকেল কলেজ সমর্থকদের নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে পাল্টা ধাওয়া দিলে পিসিপি কর্মীরা ফিরে যাওয়ার পথে হ্যাপীর মোড় এলাকার পুষ্পপ্লাজা মার্কেট,শাপলা হোটেল,ইসলামী ব্যাংক,নিউমার্কেটে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় পিসিপি কর্মীরা জনতা ব্যাংকের নির্মানাধীন ভবনের নীচে মনির হোসেনকে একা পেয়ে বেদম মারধর করে ফেলে যায় এবং গাউছিয়া মার্কেটে জামাল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে মার্কেটের উপর থেকে ফেলে দেয় । গুরুতর আহত মনির ও জামালকে প্রথমে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত মনিরের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায় এবং লিভার ফেটে যায় বলে জানিয়েছিলো চিকিৎসকরা। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা পরিষদ,জেলা প্রশাসন ও একাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে সহায়তা করলেও শেষপর্যন্ত বাঁচানো গেলোনা পেশায় নির্মাণ শ্রমিক মনিরকে।
একই হামলায় মেরুদন্ডে আঘাত প্রাপ্ত জামাল হোসেনকে ঢাকায় ব্যয়বহুল অস্ত্রপাচার শেষে বৃহস্পতিবার রাঙামাটি আনা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকামুক্ত হলেও সারাজীবনই তাকে এই আঘাতের ক্ষত বয়ে বেড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন তার বড়ভাই ফজলুর রহমান।
প্রসঙ্গত,১০ জানুয়ারি রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের দিন শহরে অবরোধের ডাক দেয় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। ওইদিন সকাল সাড়ে নয়টায় মেডিকেল কলেজের যাওয়ার জন্য রওনা হলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একদল কর্মীর উপর হামলা চালায় অবরোধে পিকেটিংরত পিসিপি কর্মীরা। পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে তা পরে জাতিগত সংঘাতে রূপ নেয় এবং পরদিন ১১ জানুয়ারি আবারো শহরে ছড়িয়ে পড়া নানান গুজবে পাহাড়ী ও বাঙালীরা পরস্পরের উপর পাল্টাপাল্টি হামলা চালায় এবং এতে উভয় পক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়,ভাংচুর করা হয় মার্কেট,দোকান,ক্লিনিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,শহরের ভেদভেদী এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বাঙালীদের ৪ টি দোকান ও বসত। পিসিপি কর্মীরা ভাংচুর করে পুষ্পপ্লাজা,হ্যাপীর মোড় ও শাপলা হোটেলের নীচে কয়েকটি দোকান,গাউছিয়া মার্কেট,ইসলামী ব্যাংক,রূপালী ব্যাংক,নিউ মার্কেট আর ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা ভাংচুর করে শেভরন ক্লিনিক,টেলিটক কাস্টমার কেয়ার।
পরে শহরে প্রথমে ১৪৪ ধারা ও পরে কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। সেই সময় শহরে মোতায়েন করা হয়েছিলো সেনাবাহিনী,বিজিবি,র্যাব এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ। এই ঘটনায় ৪ টি মামলা হয় এবং পুলিশ ৩৫ জনকে গ্রেফতারও করে। পরে ১৩ জানুয়ারি রাঙামাটি শহরে শান্তির্যালির মাধ্যমে স্বাভাবিক হয়ে আসে শহরের পরিস্থিতি।
Ai bar Prothom-alo’r moto dalal potrika ki likbe? Likbe durbritter haate ahoto Monir?
Akhon dekhsi “pahar24.com” o tar sangbad patrer niropekkata hariye pelse. karon shudu pcp dara akranta bang
Comment…
bangalider katha likhesen keno? jubo leeg ,chatra leeg r setlar bangali katri ahoto hoya niriho paharider katha to likhenni keno?jara chatra leeg juboleeg r setlar bangalider daralo dayer kope jokom hoye akhano chamek haspatale mumursho obstai chikitsadin asen.tader katha likenni keno?
cahkma kuttabasca go mara dorkar.r prothom alo sangatik holo nak capta.o r ki bolbe
“Babohare bongsher parichoy@Dilara Jui.apnar mukher basha theke buja jai je brihot nrigostira kato kharap.