‘বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা গুলোর মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলে এনজিওদের কার্যক্রম পরিচালনা করা সত্যিই দুরূহ ব্যাপার। তিনি এনজিওদের ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, সমতলে যেমন ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রনে এসেছে তেমনিভাবে দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলেও নিয়ন্ত্রনে এসেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবায়ও যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। এনজিওদের কারণে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। আর্ত মানবতার সেবায় যে সমস্ত এনজিও কাজ করছে তারা অধিক বেশি সফল হচ্ছে।’
রাঙামাটিতে কর্মরত বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা(এনজিও)’র উদ্যোগে ২৯৯ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারকে সম্বর্ধনা দেয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। সোমবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবর্ধনর আয়োজন করা হয়।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিআইপিডি’র নির্বাহী পরিচালক জনলাল চাকমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টংগ্যার সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সুস্মিতা চাকমা। শাইনিং হিলের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন হিমাওয়ান্তির নির্বাহী পরিচালক টুকু তালুকদার। এনজিও প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রীন হিলের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর যতন কুমার দেওয়ান, মনোঘরের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার চাকমা, নাইপ্রু মার্মা মেরী, আশিকার নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এনজিওদের সমস্যা সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে এনজিও প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ঊষাতন তালুকদার এমপি আরো বলেন, সরকার যেমন ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমকে নজরে রাখছে, তেমনি এনজিওদের কার্যক্রমও কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখছে। এনজিওদের ব্যাপারে যে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে তা ভুল প্রমানের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। তিনি সম্প্রতি রাঙামাটি শহরের দুইটি হত্যাকান্ডের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, দুইটি হত্যাকান্ডেই যেন কোথায় মিল রয়েছে। এসব হত্যাকান্ডের এখনো পর্যন্ত কোনো ক্লু বের করতে পারেনি প্রশাসন। এর মাধ্যমে বোঝা যায় শহরে পেশাদার খুনি বাড়ছে। এছাড়াও শহরে আশংকাজনকহারে মাদকাসক্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসব অপরাধ কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে পথ ও মতের ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু সামগ্রিকতা থাকতে হবে। পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে সকলকে এক থাকারও আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
BHOOTER MUKHE RAM NAM
CHORER MAIER BORO GOLA