খাগড়াছড়িতে ডাকাতিকালে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে সংঘবদ্ধধর্ষণ মামলার আসামিদের পক্ষে আইনি সহায়তা না করতে বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উইমেন্স রিসোর্স নেটওয়ার্ক।
বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনটির পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে আবেদন পত্র জমা দেয়া হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী শেফালিকা ত্রিপুরা স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন পত্রটি গ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা ও আক্তার উদ্দিন মামুন। এসময় নারী নেত্রী লালসা চাকমা, শাপলা ত্রিপুরা, মণিষা চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত আবেদনে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিরা অপরাধী বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এবং তারা সবাই একাধিক মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণ মামলার আসামিরা যাতে আইনের ফাঁক-ফোঁকর গলে বের হতে না পারে সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বার অ্যাসোসিয়েশনকে অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া সিলেটের ঘটনায় আইনজীবীরা যেভাবে বিবাদী পক্ষের লোকদের আইনি সহয়তা না দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেভাবে খাগড়াছড়ির ধর্ষণ মামলার আসামিদের পক্ষে উকিলদের সহায়তা না দিতে আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক মন্তব্য করে সংগঠনটির দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকার কথা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দিবাগত রাতে জেলা সদরের বলপিয়ে আদালম এলাকায় বসতবাড়িতে ডাকাতির পর এক নারীকে সংঘবদ্ধধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর থানায় ৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ২টি মামলা দায়ের করা হলে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৭ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।