করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন হাহাকার চলছে; ঠিক তখনো চলছে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা। করোনা পরিস্থিতি মাঝে ও রমজান মাসে পণ্যের চাহিদাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো দোকানি পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সে জন্য রাঙামাটির শহরে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে শহরের বনরূপা ও রিজার্ভবাজারে পরিচালিত হয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আদালত চার প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বেশি রাখায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা দণ্ড দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিনে জেলা শহরের রিজার্ভবাজারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় রিজার্ভ বাজারের প্রধান সড়ক, কাঁচাবাজার, চেঙ্গীমুখ পরিদর্শন করে দুই মুদিদোকানিকে দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রাখায় একজনকে পাঁচ হাজার করে দুইজনকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সখিনা আক্তারের নেতৃত্বে শহরের বনরুপায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযানেও দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রাখায় দুই মুদি দোকানিকে এক হাজার পাঁচশত টাকা করে দুইজনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “রমজান মাসকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সে জন্য আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। রোববার দ্রব্য মূল্যের দাম বেশি রাখায় রিজার্ভ বাজারে দুই মুদি দোকানিকে দশহাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”