একটির উচ্চতা প্রায় ৪ ফিট,কলা আছে ১৭ কাঁদি। অন্যটির উচ্চতায় সাড়ে ৩ ফিট,কলার কাঁদি প্রায় ১৪টি। আর এই দুটি বাঙলা কলার ছড়ার দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। বৃহষ্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বাজারে উঠেছে বৃহত দুটি কলার ছড়া। এদিকে কলার ছড়া দুটি বাজারে উঠার পর থেকে দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভীড় ছিল চোখে পরার মত।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের বরকলক এলাকা থেকে কলার ছড়া দুটি বিক্রি করতে বাজারে আনেন লাল বরণ চাকমা ও বাবুচন চাকমা। তাঁরা দুইজন একসাথে চাষাবাদ করেন। লাল বরণ চাকমা বলেন, বাগানে এই জাতের মোট ৪টি গাছ আছে। এরমধ্যে ২টি গাছে ফলন হয়েছে। গাছ লাগানোর ১৪ মাস পর ফলন হয়েছে বলেও জানান তিনি। বাবুচন চাকমা বলেন, সময়মত জৈব সার, চা পাতা, ও গোবর দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করায় এমন ফলন হয়েছে। এতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কলা ব্যবসায়ী মোঃ আজিম উদ্দিন জানান, খাগড়াছড়ি বাজারে এতো বড় কলার ছড়া দেখিনি। এর আগে এমন কলার ছড়া বাজারে উঠেনি।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী মোঃ মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি কলার ছড়া দুটি ৪ হাজার টাকা বলেছি কিন্তু তাঁরা ৫ হাজার টাকার কম বিক্রি করবেনা বলে জানিয়েছে।
পানছড়ি উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মানিক মিয়া বলেন, ‘যেকোন কলার ছড়া থেকে স্বাস্থ্যবান ১টি কিংবা ২টি শাখা রেখে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে এমন ফলন হওয়া সম্ভব। এই কলা চাষে কীটনাশকের মাত্রা খুবই কম ছিল।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পানছড়ি উপজেলায় কর্মরত মানিক ভাইকে ধন্যবাদ রইল।