পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আবারো আধিপত্যের লড়াই হয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়। জেএসএস (সন্তু) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর মধ্যে দুই ঘন্টার বন্দুকযুদ্ধে প্রায় ২ হাজার রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী ২টি তাজা গুলি, ১১টি মিস ফায়ারের গুলি এবং ১৫৪ টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে মর্টারশেল নিক্ষেপসহ দশ প্রকারের ভারী ও হালকা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সূত্রগুলো।
ঘটনার শুরুতে একজন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেলেও পরে এর কোন সত্যতা মেলেনি এমনকি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। ঘটনাটি রবিবার সকালে উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের দূর্গম জারুলছড়ির তন্টুমনি মেম্বার পাড়ার বাঁশঢালা এলাকায়।
স্থানীয় ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, সকাল পৌনে ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলেও বিরামহীন ভাবে চলে ঘন্টাখানেক। এর পরও থেমে থেমে আরো এক ঘন্টার মতো স্থায়ী ছিল বন্দুকযুদ্ধ। সর্বশেষ মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী রওয়ানা হলেও এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় পৌঁছতে সময় লাগে। উদ্ধারকৃত খোসার পরিমান থেকে সেনাবাহিনী ধারনা করছে গুলি বিনিময়ের পরিমান হবে প্রায় দুই হাজার। খোসা থেকে ধারনা করছে বন্দুকযুদ্ধে একে-৪৭ রাইফেলসহ ভারী ও হালকা মানের দশ প্রকারের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
দীঘিনালা সেনাজোনের এক কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে সেনা বাহিনী ২টি তাজা গুলি, মিস ফায়ারের গুলি ১১টি এবং ১৫৪ টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।