অচেনা ফেরিওয়ালা হরেক রঙের স্বপ্ন ফেরি করে হাঁটছে
এ গ্রাম থেকে সে গ্রাম, ইটের শহর থেকে হয়তো মফস্বলে এসে ফেরি করছে।
বিস্তৃত আকাশে ধূসর মেঘ, স্বপ্ন ফেরি করা ফেরিওয়ালা ঝড়ের গতিতে হাটছে,
সবচেয়ে দামী স্বপ্ন বিক্রি করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করবে বলে।
শরতের বাতাসে মাঠের কাশফুলগুলো দুলছে,
ষোড়শী কন্যার লাল উড়না তার মনে নতুন রঙের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
রঙিন স্বপ্ন তার চারদিকে সাদা কাশের তুলোর মতো ভেসে বেড়াচ্ছে।
একদল সদ্য বাড়ন্ত ছেলেরা সাইকেলে দাপটে বেড়াচ্ছে সারা গ্রাম,
রঙিন খেলায় মেতে উঠা তাদের মহা মূল্যবান কাজ!
স্বপ্ন দেখা তাদের কাজ নয়, এখন তাদের শৈশব-কৈশোর কাটছে,
হৈ-হুল্লোড়ে এমন শৈশব সবাই বারে বারে কি ফিরে পায়?
একলা বুড়ি সব পাতা কুড়িয়ে নেয় উনুন জ্বালবে বলে,
এই বয়সে একলা থাকা রঙিন স্বপ্ন নয়।
বয়স বাড়লে হারায় সকল রঙিন স্বপ্নেরা… ফিরে কেন আসে না রঙিন স্বপ্নেরা!
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হেঁটে চলে হরেক নামের গ্রাম, এখানে সেখানে যে চায় যত স্বপ্ন বিলানোই কাজ,
হঠাৎ করে সন্ধ্যে হলেই ঘরে ফেরা দায়,
অচেনা ফেরিওয়ালাও হারিয়ে যায় গোধুলী সন্ধ্যায়।
শুধু অপেক্ষারত থেকে যায়… যারা রঙিন স্বপ্নগুলো পূরণের স্বপ্ন দেখে, দিবারাত্রি ভেবেই চলে।
আবার কখনো স্বপ্ন বিক্রেতা অচেনা ফেরিওয়ালার সাথে দেখা হলে আরও কিছু স্বপ্ন কিনবে বলে।