জমে উঠেছে রাস পূজা উপলক্ষ্যে শহরের মাঝেরবস্তি শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মেলাটি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই এই মেলায় জনসমাগম বাড়তে শুরু করে। কঠিন চীবর দান ও জগদ্ধাত্রী পূজার মেলা শেষে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রাঙামাটিতে এটি তৃতীয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো শাহ বহুমুখী স্কুল মাঠ জুড়েই মেলার দোকান বসেছে। দোকান বরাদ্দ না পাওয়ায় কিছু ব্যবসায়ী মন্দিরে যাওয়ার প্রধান সড়কের দুপাশে তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মাঠের মাঝখানে আছে নাগরদোলা এবং চড়কি, যা আকৃষ্ট করছে মেলায় বেড়াতে আসা শিশু কিশোর সহ সকল বয়সের মানুষকে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা এখানে তাদের পসরা সাজিয়েছেন। যার মধ্যে বই, কসমেটিক, খেলনা, তৈজসপত্র, এবং খাবারের দোকান উল্লেখযোগ্য।
খুব অল্প সময়ের মেলা হওয়া সত্বেও রাস মেলার মেলার সুখ্যাতি রয়েছে পুরো রাঙামাটি জুড়েই। রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এই মেলা ঘুরতে আসে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলায় চট্টগ্রাম থেকে আসা কসমেটিক বিক্রেতা মোঃ শহীদ বলেন, আমরা কঠিন চীবর দানের মেলা উপলক্ষ্যে রাঙামাটি এসেছিলাম। এরপর জগদ্ধাত্রী মেলা শেষে এখন এই মেলায় ষ্টল বসিয়েছি। মেলায় আস্তে আস্তে মানুষ বাড়তে শুরু করেছে। আশা করছি বাকি মেলাগুলোর মতোই এই মেলায়ও যথেষ্ট বিক্রি করতে পারবো আমরা।
চট্টগ্রাম থেকে আসা আরেক বিক্রেতা মোঃ সাগর বলেন, আমি অনেক চেষ্টা করেও একটি ষ্টল বরাদ্দ পাই নি। তাই এখন রাস্তার পাশে বসতে হয়েছে। মেলায় চাক্কি খেলার ষ্টলের সংখ্যা আরো কয়েকটা কমিয়ে অন্যান্য পণ্য ব্যবসায়ীদের ষ্টল বরাদ্দ দিলে সুবিধা হতো বলে জানান এই বিক্রেতা।
আরো দেখুন
বিবর্ণ পাহাড়ের রঙিন সাংগ্রাই
নভেল করোনাভাইরাসের আগের বছরগুলোতে এই সময় উৎসবে রঙিন থাকতো পাহাড়ি তিন জেলা। এই দিন পাহাড়ে …