চট্টগ্রাম থেকে এক ব্যবসায়ী অপহরণ হওয়ার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী মামলাও করেন। মামলার এক সপ্তাহের মাথায় সেই কথিত অপহৃত ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গ্রেপ্তার হয়েছে। সোমবার সন্ধায় দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ভূইয়াছড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্ততার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁকে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ থানার অপহরণ মামলা এবং ভূক্তভোগীদের বরাত দিয়ে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, আলাউদ্দিন চট্টগ্রামের একজন ব্যবসায়ী। সে চট্টগ্রামের কয়েকজনের নিকট থেকে ব্যবসার কথা বলে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ঋণ করেছিল। এছাড়াও ব্যাংকেও তার প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এঅবস্থায় আলাউদ্দিন ২৭ জুলাই আত্মগোপন করে। এরপর থেকে সে ভূইয়াছড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা বেগমের (২৮) বাবা জহিরুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করে। চট্টগ্রামের পাওনাদারদের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে নিখোঁজ হওয়ার পর আলাউদ্দিনের প্রথম স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদি হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দ্বায়ের করেন (মামলা নং-৬, তারিখ-৩/৮/২০১৫)।
আলাউদ্দিনের নিকট টাকা পাওনাদার চট্টগ্রাম থেকে আসা মাসুদ চৌধুরী (৩৫) এবং সাইম (৩৮) জানান, তাঁদের পাওনা টাকা উদ্ধারের কোনও নিশ্চয়তাতো ছিলই না বরং অপহরণ মামালার কারণে তাঁরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। আলাউদ্দিন তাঁর মোবাইলের সিমও বদল করে ফেলে। এরপরও আলাউদ্দিনের অবস্থান সনাক্ত করার চেষ্টা শুরু করেন তাঁরা। এক পর্যায়ে বিকাশে টাকা পাঠানো এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আলাউদ্দিনের দি¦তীয় স্ত্রী আকলিমা জানান, তিনি চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকার মাজার গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আলাউদ্দিনের সাথে পরিচয়ের পর ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ৬ বছর বয়সি এক সন্তার রয়েছে। কিন্তু সন্তান জন্মের পর আকলিমা জানতে পারেন যে আলাউদ্দিনের প্রথম স্ত্রী রয়েছে। তখন মন খারাপ হলেও কিছু করার ছিল না।
মঙ্গলবার দুপুরে দীঘিনালা থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় আলাউদ্দিন জানায়, সে দুই সপ্তাহ যাবত এখানে অবস্থান করছে, তবে এত কিছু হয়ে যাবে তা সে বুঝতে পারেনি।