
প্রসঙ্গত,রোববার (১২ অক্টোবর) ভোরে নকল চাবি ব্যবহার করে নগরীল খুলশী চার নম্বর সড়কে গ্রুপ ফোরের কার্যালয়ের একটি ভল্ট থেকে তিন কোটি টাকা চুরি করা হয়।
রোববার সন্ধ্যার দিকে ভল্টের গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, রোববার ভোর ৪টা ৫ মিনিটে মুখোশধারী এক লোক চাবি দিয়ে ভল্টের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় টাকা ভর্তি করে বের হয়ে যায়।
এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় রোববার গভীর রাতে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রুপ ফোর সিকিউরিটির সিনিয়র ম্যানেজার তারেক মনসুর বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
চুরির অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রুপ ফোর এর কর্মী ইকবাল বিন রশিদ, রফিকুল ইসলাম ও রবিউল হোসেনকে সোমবার আটক করে খুলশী থানা পুলিশ। মামলা দায়েরের পর পুলিশের ১১ সদস্যের একটি টিম টাকা উদ্ধারে মাঠে নামে। এক রাতের মধ্যেই তারা টাকা উদ্ধারে সক্ষম হন। এরপর থেকে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারি শহীদুল ইসলাম শাওনকে গ্রেফতারে তৎপর হয়ে উঠে আইনশৃংখলাবাহিনী।
এদিকে এই দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনার মূল পরিকল্পনকারি শহীদুল ইসলাম শাওনকে রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার করার কথা র্যাব জানালেও রাঙামাটির পুলিশ বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেনা । বুধবার সকাল দশটায় রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( গোয়েন্দা) আবুল কালাম আজাদ এবং কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুদ খান জানিয়েছে, তারা সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছেন কিন্তু র্যাব বা অন্য কোন পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি।