খাগড়াছড়ি শহরের শালবন, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগান, সবুজবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এমনকি উন্নয়নের নামেও পাহাড় কাটার উৎসব চলে এই পাহাড়ি জেলায়। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। তেমনি একটি চক্রের ৪ সদস্যকে দুটি ট্রাক্টরসহ আটক করেছে জেল জরিমানা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে পৌর শহরের শালবন এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ৪জনকে। এরমধ্যে পাহাড়ের মাটি বোঝাই ২টি ট্রাক্টর এবং মাটি কাটার বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ট্রাক্টর চালকসহ ৪জনের প্রত্যেককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। দণ্ডিতরা হলেন মো. সুমন, মো. আব্দুর রহিম, মো. হাফিজুর রহমান ও মো. রানা।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও এনডিসি উজ্জ্বল কুমার হালদার। মূলত: বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর উপধারা ১৫(১) এর ক্রমিক নং ৫ এর বিধান লংঘন করায় এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও এনডিসি উজ্জ্বল কুমার হালদার জানান, ‘প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায় পাহাড়ের মাটি কেটে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত চালানো হয়। অপরাধীরা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ট্রাক্টর দুটিও থানা পুলিশের হেফাজতে জব্দ থাকবে।
খাগড়াছড়ির পরিবেশকর্মী অপু দত্ত অভিযোগ করেন, পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে এ জেলায় ইচ্ছামত পাহাড় কাটা হয়। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে পাহাড় কাটার সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্রও জড়িত রয়েছে।
তিনি প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে স্বাগত জানিয়ে এ ধরণের উদ্যোগ আরও বেশি গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন।