পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ১৬ বছর পূর্তির দিনটি নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। এ উপলক্ষ্যে একদিকে সরকারের বর্ণাঢ্য কর্মসুচি আর অন্যদিকে চুক্তি বাস্তবায়ন না করার প্রতিবাদে গণঅনশন পালন করছে জনসংহতি সমিতি।
পার্বত্যচুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে বর্ষপূর্তির উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামছুল ইসলাম।
এরপর পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে টাউনহলে এসে শেষ হয়। র্যালিতে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামছুল ইসলাম, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল ফরিদ হাসান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম, পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন, পুলিশ সুপার শেখ মিজানুর রহমান, পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলমসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। পরে টাউনহলে শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না করার প্রতিবাদে শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার এমএন লারমার ভাস্কর্যের পাদদেশে গণঅনশন কর্মসুচি পালন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা গ্রুপ। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এটি শেষ হয় বিকাল ৪টায়। এতে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) গ্রুপের সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের এদিনে ঐতিহাসিক পার্বত্যচুক্তি হয়েছিল। তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের পক্ষে চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং পার্বত্যবাসীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শীর্ষনেতা জ্যোরিন্দ্রি বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
চুক্তির শর্তানুযায়ী সশস্্র পথ ছেড়ে প্রায় দুই হাজার জনসংহতি সমিতি সদস্য (শান্তিবাহিনী) স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। গঠিত হয় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য মন্ত্রনালয়, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স ও ভূমি কমিশন।
