তারা ভরা রাত, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা
তারপর…কখনও দীর্ঘশ্বাস কখনও মৃদু ভাললাগা।
এভাবেই রাত কাটে, ভোরের সূর্য মিলায় গোধূলী বেলায়,
জীবনের খুব বেশী হেরফের হয় না;
হঠাৎ রাত গুলো বেশ বড় হয়ে যায়, কথা হয়
অনেক দুরের কোন এক সময়ের সাথে; খুব
সাধারণ একটা মুহুর্তের সাথে; তারপরও কোথায়
যেন একটা কষ্ট, বুঝে ওঠার আগেই কেমন একটা
সরল সরল ভাললাগা, হালকা দখিনা হাওয়ার
ছোঁয়া, তারপর…..। এক একদিন চেনা পথটাকে কেমন যেন
অচেনা লাগে, রাস্তার মোড়, শিমুল গাছটকে চিনতে পারিনা।
বাড়ি কিš’ ঠিকই চলে আসি, কাপড় পাল্টে ধোঁয়া ওঠা কাপে
চামচ নেড়ে টুংটাং শব্দ তুলি, একসময় কাপ খালি হয়।
তখন ভাবি পথটাকে অচেনা মনে হয়ে ভালই হয়েছে,
নতুবা ঘরে ঢুকেই তোমার চিঠি এসেছে কিনা জানতে চাইতাম,
আবার নিয়ম মাফিক কষ্ট কুড়াঁনো; চিঠি না লেখার
অভ্যাসে ঠিকানা আর ক’দিনইবা মনে থাকে বলো;
তাইতো খুব চেনা কিছু অচেনা হলে মাঝে মাঝে
ভালই হয়, একটা জীবন এভাবে এলোমেলো
ভাবনায় কেটে গেলে কী বা এসে যায়।
আরো দেখুন
জেসমিন সুরভী’র কবিতাগুচ্ছ
নির্মম কি নির্মম এই পৃথিবী, কি নির্মম এই বাস্তবতা? কত যে কত নিকৃষ্টতা, কোথায় যে …