রাঙামাটির প্রাণ কেন্দ্র বনরূপা কাচা বাজারে শীতকালিন শাক সবজির সরবরাহ তুলনামূলক বেশি থাকার কারনে দাম কিছুটা হাতের নাগালে এসেছে। কাচা সবজি থেকে মাছ মাংস সব কিছুর দামই গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। সবজি ক্রেতা মোঃ সোহেল রানা বলেন, বাজারে শীতকালিন শাকসবজির দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে, তবে মাছের দাম কিছুটা বেশি ।
সবজি বিক্রেতা মোঃ কাউসার বলেন, এই সপ্তাহে হরতাল না থাকার কারনে তরিতরকারি পরিবহনের সমস্যার হয় নাই, তাই শীত কালিন শাক সবজির সরবরাহ ভাল ছিল, এই কারনে দাম কিছুটা কম।
বাজার পরিদর্শনে দেখা গেছে,গত সপ্তাহে সিম ছিল ৮০ টাকা আর এখন দাম কমে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ টাকা থেকে কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায় । বেগুন ৬০ টাকা থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, টমেটো ১৪০ টাকা থেকে কমে গিয়ে ১০০ টাকা। অপরিবর্তিত আছে শীতে আসা সবজির বাজার যেমন, বাঁধা কপি, ফুল কপি, মূলা ইত্যাদি।
তবে বিপরীতচিত্র দেখা গেছে মাছ বাজারে। সেখানে মাছের দাম তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি। মাছ ব্যবসায়ী সোলেমান জানালেন, হরতাল না থাকার কারণে মাছ রাঙামাটি থেকে দূর দুরান্তে চলে যাওয়ায় মাছের দাম কিছুটা বেশি। আগে যে কাতলা ৩৫০ টাকায় পাওয়া যেত তা এখন বেড়ে গিয়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাচা মাছ ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে ৬০০ টাকা, পাবদা ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে ৭০০ টাকা। অন্যান্য মাছের দাম ২০/৩০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগী বিক্রিতা মোঃ হুমায়ন বলেন, মুরগীর সরবরাহ ভাল থাকার কারণে দাম কিছুটা কম। বয়লায় মুরগীর এখন ১৩০ টাকা থেকে কমে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, দেশী মুরগী ২৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মুদী ব্যবসায়ী ওসমান জানালেণ, পেয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে, আগামী সপ্তাহে আরো কমবে। চাউলের বাজার অপরিবর্তিত আছে। মাংসের বাজারে নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি হতে দেখা গেছে গরুর এবং খাসির মাংস। তবে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দামের কিছুটা তারতম্যও লক্ষ্য করা গেছে।