খাগড়াছড়ি শহরতরীর জিরো মাইল এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে দুটি গাড়ী ভাংচুর করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে যানবাহন চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের হর্টিকালচার পার্ক এলাকায় এক যুবকের হাত থেকে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রাস্তায় পরে যায়। একই সময় একটি চলন্ত টমটম (ব্যাটারি চালিত যান)’র চাকার নিচে পরে মোবাইলটি ভেঙ্গে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ যুবক টমটমের চালকের সাথে কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে মারধর করে। পরে চালক ও ওই যুবকের পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তারা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে এবং লাঠিসোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এতে আবুল কাশেম(৫০), চাথোঅং মারমা (২০), থোয়াই মারমা(৪০), বিলকিছ বেগম(৪০), বেলাল(৪৫) ও থৈচিং মারমা(৪০)। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
একই সময় মধুবাজার এলাকায় দুটি চাদেঁর গাড়ী ভাংচুর করেছে উত্তেজিত একটি পক্ষ।
মং রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী জানান, ‘এই ঘটনা একদম অপ্রত্যাশিত। একদম তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তাৎক্ষনিক আমরা ঘটনাস্থলে আসতে পেরেছি বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হয়েছে। না হলে ভয়াবহ রুপ ধারন করতো।
এদিকে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা চালান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মোঃ রফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চু মণি চাকমা, খাগড়াছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার(হেডকোয়ার্টার) কানন দেবনাথ, নারী নেত্রী বাশঁরী মারমা প্রমুখ।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তরিৎ ব্যবস্থা নেয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আর এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। এখনো থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলেও জানান তিনি।