পার্বত্য এলাকায় শিক্ষা ও চাকুরিতে ‘উপজাতীয় কোটা নয়,পার্বত্য কোটা চালু’র দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারি বাঙালী শিক্ষার্থীদের সংগঠন পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ।
শনিবার সংগঠনটির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কাঠালতলিস্থ রাঙামাটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা।
শনিবার সকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহরে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। র্যালিটি শহররের প্রধান কয়েকট সড়ক প্রদক্ষিন করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এয়াকুব আলী চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক নূরজাহান বেগম,বাঙালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সম্পাদক মাসুদ রানা,রাঙামাটি জেলা সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন সমমনা ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা।
সভায় বক্তারা রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনে বিরোধীতাকারিদের ভর্তি না করার দাবি জানিয়ে বলেন, এখানে স্থানীয়দের ভর্তির জন্য যে কোটা সংরক্ষন করা হয়েছে তাকে ‘উপজাতীয় বা অউপজাতীয়’তে ভাগ না করে ‘পার্বত্য কোটা’ হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। একই স্থানে শিক্ষা ও চাকুরিতে বিদ্যমান উপজাতীয় কোটা বাতিল করে ‘পার্বত্য কোটা’ চালুর দাবি জানান তারা।
আলোচনা সভায় বক্তারা,পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অব্যাহত চাঁদাবাজি বন্ধ করারও দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ১ নভেম্বর এয়াকুব আলী চৌধুরী ও আলকাচ আল মামুন’র নেতৃত্বে গঠিত হয় পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ নামক এই সংগঠনটি। পার্বত্য এলাকায় বাঙালীদের অধিকার ইস্যুতে আন্দোলন করে থাকে সংগঠনটি।
eita holo valo uddog
আমার জোড়ালো অকুন্ঠ সমর্থন থাকলো।