

চিরপ্রতিদ্বন্ধি আবাহনীর পথেই যেনো হাঁটলো আরেক ফেভারিট মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবও । রবিবার নিজেদের প্রথম খেলায় আবাহনী হার দিয়ে লীগ শুরু করার পর সোমবার একই মাঠে মোহামেডানও আবাহনীর পথেই হাটলো পরাজয় দিয়ে শুরু করে। লীগে নিজেদের প্রথম খেলায় মোহামেডান ২-০ গোলে হেরেছে প্রতিভাসের কাছে ।

খেলার শুরুতে উভয় দল নিজেদের সেরাটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলে। আক্রমন পাল্টা আক্রমনে পুরোটা সময় দর্শকদের উত্তেজনায় মাতিয়ে রাখেন দুদল। খেলা শুরুর ১৩ মিনিটের মাথায় প্রতিভাস ক্লাবের ১১নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আবুল বশর গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেয়। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে খেলে মোহামেডান। একাধিক সুযোগ সৃষ্টি হলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। অপরদিকে প্রতিপক্ষের আক্রমন শক্তভাবে ঠেকাতে এবং দলকে এগিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে খেলে প্রতিভাস ক্লাবের খেলোয়াড়রা। আক্রমন পাল্টা আক্রমনে পুরো ম্যাচ হয়ে উঠে বেশ প্রানবন্ত। খেলার দ্বিতীয়ার্থের ৮ মিনিটে প্রতিভাস ক্লাবের ৭নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আবদুল আলিম আরিফ গোল করলে ২-০গোলে এগিয়ে যায় তারা। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো দল গোল করতে না পারায় প্রতিভাস ক্লাবের কাছে ২-০গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফেভারিট মোহামেডান।
খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন প্রতিভাস ক্লাবের ১১ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আবুল বশর। পুরস্কার হিসেবে নগদ এক হাজার টাকা তুলে দেন প্রাক্তন অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া। খেলা পরিচালনা করেন মোঃ সোহেল।
জয় কিংবা পরাজয় হিসাব করে কি লাভ, যদি না ফুটবলের উন্নতি না হয়। যারা খেলছে, যাদেরকে খেলাচ্ছে তাদের সাথে ১ম বিভাগ ফুটবল লীগের কতটুকু মানানসই, আদৌ কি তারা যোগ্য কিনা? নামমাত্র খেলোয়াড়দের নিয়ে যেনতেন একটি লীগ পরিচালনা করা তামাসা ছাড়া কিছুই না। অরুন, বরুন বা কিংশুক প্রদীপের পর রাঙ্গামাটি কি পেরেছে একজন ভালোমানের খেলোয়াড় সৃষ্টি করতে? এরজন্য দায়ী কে?