দীর্ঘ ৪দিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় পোড়া শরীর নিয়ে তীব্র যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে অবশেষে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন গৃহবধূ পপি চাকমা (২৪)। বৃহষ্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি ।
পরিবারের দাবি, গত ৩০ জানুয়ারী বিকালে জেলা সদরের মহাজন পাড়া এলাকায় নিজ ঘরে রান্না করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত চুলার আগুন গৃহবধূ পপি চাকমার শরীরে লাগে। এতে শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে টানা ৪দিন ধরে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় বৃহষ্পতিবার বিকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই গৃহবধূর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পরিবার থেকে এই ঘটনায় কাউকে দায়ী করা হয়নি। মূলত: অসতর্কতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবার থেকে দাবী করা হয়েছে। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনা নিয়ে সন্দিহান প্রকাশ করেছেন খাগড়াপুর মহিলা কল্যান সমিতির সভানেত্রী শেফালিকা ত্রিপুরা। তিনি বলেন,‘স্থানীয়দের সাথে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি বেকার স্বামীকে ঋণের টাকায় একটি সিএনজি কিনে দেয় পপি চাকমা। কিন্তু স্বামী সেই সিএনজি বিক্রী করে দেয়। এদিকে ঋণের টাকা পরিশোধসহ নানা বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে পপি চাকমার ঝগড়া হতো। তাকে মারধর করতো। পারিবারিক কলহের কারণে পপি হয়তো আত্মহত্যা করেছে না হয় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।
এদিকে পপি চাকমাকে বাইরে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাওয়া গেলো বাচাঁনো সম্ভব হতো বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, পরিবারটি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বলে তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি খাগড়াছড়িতে একটি বার্ণ ইউনিট স্থাপনের দাবী জানান।
তবে এই বিষয়ে কিছুই বলতে রাজী হননি নিহত গৃহবধূ পপি চাকমার মা পদ্মা রাণী চাকমা।