একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীর খবর এলো জেলা প্রশাসক ও কলেজের নাম্বারে। বর্ণনাও দিলেন পরীক্ষার্থীর। দুইজন শিক্ষক তন্ন তন্ন করে খুঁজলেন পরীক্ষার হলে, পেলেন না। দুই ঘন্টা পর জেলা প্রশাসক নিজেই এলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। অজ্ঞান ফোনে পাওয়া বর্ণনা অনুযায়ি খুঁজে বের করলেন সেই পরীক্ষার্থীকে। জেলাপ্রশাসকের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো সে। চোরের মা’র যেন বড় গলা। প্রায় ঘন্টাখানেক চললো তর্ক-বিতর্ক। অবশেষে প্রমান পাওয়া গেল সে সে ভূয়া পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙামাটি সরকারী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে। মঙ্গলবার হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে উড়োফোন থেকে পাওয়া খবরে হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযুক্ত শরীফ হোসেন মুন্নাকে একবছরের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের জেল দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে ওবায়দুর রহমানের আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার হিসাব বিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে জেলাপ্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামালের নাম্বারে এবং কলেজের টিএ্যান্ডটি নাম্বারে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। রাঙামাটি সরকারী কলেজের সিরাজুল ইসলাম (রোল-৫৩৬৭০৫) এর পক্ষে শরীফ হোসেন মুন্না নামে এক ছাত্র পরীক্ষা দিচ্ছে। হল পর্যবেক্ষক প্রভাষক সীমা তালুকদার, দীপম চাকমা ও দেবোত্তম বড়–য়া চৌধুরী ভুয়া পরীক্ষার্থীটিকে খুঁজতে থাকে। পরে বারোটার দিকে জেলা প্রশাসক এসে ৭০১ নং কক্ষ থেকে ভুয়া পরীক্ষার্থী শরীফ হোসেন মুন্নাকে ফোনে পাওয়া তথ্যানুযায়ী হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে মাধ্যমিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০সনের ৩(খ) ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১৬২/১৪।
রাঙামাটি সরকারী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম মজুমদার জানান, প্রকৃত পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বোর্ডের আইন শৃঙ্খলা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সিরাজুল ইসলাম ২০০৯ সালে রাঙামাটি কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাশ করে। আর অভিযুক্ত শরীফ হোসেন মুন্না ২০১১সালে রাঙামাটি সরকারী স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৩ সালে রাঙামাটি সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। সে বর্তমানে রাঙামাটি সরকারী কলেজের বিবিএস প্রথম বর্ষের ছাত্র।